স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্কুল-কলেজে পড়–য়া ১৮ বছরের কম বয়সীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ করা না গেলে কোন অবস্থাতেই বাল্যবিয়ে বন্ধ করা সম্ভব নয়।
স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের মূল ভূমিকা পালন করতে হবে। একইসাথে সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে তা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। ১৮ বছরের কম বয়সীদের কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে সিম রেজিষ্টেশনকারী ব্যক্তিকে জেল ও জরিমানার আওতায় আনতে হবে। বাল্যবিবাহের প্রধান কারণই হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নানা নেতিবাচক দিকে ধাবিত হওয়া। ফলে পরিবারের সদস্যরা সম্মান হারানোর ভয়ে অল্পবয়সেই ছেলে-মেয়েদের বাল্যবিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাই প্রথমেই প্রধান কারণ নিমূল করা সম্ভব হলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সফলতা আসবে।
সকালে বরিশালের উজিরপুর উপজেলা প্লাটফরমের শেয়ারিং সভায় বাল্যবিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে এ অভিমত ব্যক্ত করেন আলোচকরা। “নারী ও শিশু নির্যাতন এবং বাল্যবিবাহের কোন ক্ষমা নেই” শ্লোগানকে সামনে রেখে স্থানীয় বিআরডিবি’র হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় উজিরপুর উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ প্লাটফরমের সভাপতি সীমা রানী শীলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আকরাম হোসেন হাওলাদার, এইড’র নির্বাহী পরিচালক প্রেমানন্দ ঘরামী, উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ প্লাটফরমের সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বাচ্চু, আভাসের প্রজেক্ট অফিসার নাসরিন খানম, শিক্ষক নমিতা সিকদার মালা, উন্নয়ন কর্মী সুলতা রানী, উপজেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ প্লাটফরমের সদস্য সচিব জয়দেব চক্রবর্তী প্রমুখ। স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়ন সংস্থা আভাস, রুপান্তর ও রাইটস্ যশোর এর যৌথ আয়োজনে ইউএসএআইডি, ইউকেএইডের যৌথ অর্থায়নে এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশন্যালের সহযোগিতায় সভায় বিবাহ রেজিষ্টার, পুরোহিত, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, এনজিও কর্মী, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply